এ ঘটনায় মুকসুদপুর থানার দায়ের করা জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৩ ডিসেম্বর সকালে অফিস থেকে মুকসুদপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়ন এলাকায় যাওয়ার জন্য বের হওয়ার পর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
ঘটনার দিনই আশার মুকসুদপুর ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মো.বাবুল আক্তার মুকসুদপুর থানায় জিডি করেন বলে মুকসুদপুর থানার ওসি মোস্তফা কামাল পাশা জানান।
বাবুল বলেন, সেদিন অফিসে আসার পর সাপ্তাহিক কিস্তির টাকা তুলতে সকাল ৮টার দিকে বের হয়ে যান রাইচরণ।
“বেলা ২টার মধ্যে অফিসে ফিরে না আসায় তার মোবাইলে ফোন করে বন্ধ পাই। এরপর অফিসের অন্যান্য লোকজন তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করা হলেও রাইচরণের কোনো সন্ধান মেলেনি। পরে বিষয়টি তার মা ও স্ত্রী মমতা হালদারকে মোবাইল ফোনে জানানো হয়।”
তিনি আরও বলেন, “গত বছরের মে মাস থেকে রাইচরণ মুকসুদপুর ব্রাঞ্চে কর্মরত ছিলেন। তার বিরদ্ধে কোনো আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ নেই। কি কারণে তিনি নিখোঁজ হলেন তা বুঝতে পারছি না।”
রাইচরণের শাশুড়ি শেফালি সরকার বলেন, “খবর পেয়ে ওইদিন রাতে আমি মুকসুদপুরে আসি। তারপর থেকে রাইচরণকে বিভিন্ন স্থানে খুঁজেও সন্ধান পাইনি। আমার জামাইয়ের কোন শত্রু নেই। সে অত্যন্ত বিনয়ী ও সৎ হিসেবে পরিচিত।”
ওসি মোস্তফা বলেন, থানায় জিডির পর রাইচরণের অফিস ও পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্তে তার নিখোঁজ হওয়ার কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাকে খুঁজে বের করতে অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।